সময়ের ডাক :ঢাকা-সিলেট রুট চলাচলকারী গ্রিনলাইন পরিবহনের বিলাসবহুল একটি বাস থেকে ১৪ কেজি স্বর্ণসহ ৬ চোরাকারবারীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)।রবিবার দিনগত রাতে নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে গাড়িটি থামিয়ে এতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট থেকে ঢাকাগামী গ্রিনলাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী ওই বাস তল্লাশি করে ১২০টি স্বর্ণের বারসহ ৬ চোরাকারবারীকে আটক করা হয়।
প্রায় ১৪ কেজি ওজনের এ স্বর্ণের বাজার মূল্য আনুমানিক ৬ কোটি টাকা।১৪ হাজার টাকার বিনিময়ে ৬ কোটি টাকার স্বর্ণ ঢাকায় পাঠাতে রাজি হয়
সিলেট থেকে ১৪ কেজি ওজনের ১২০টি স্বর্ণের বার ঢাকায় নেওয়ার পথে ৬ জনকে আটক করেছে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, ৬ কোটি টাকা মূল্যের এই স্বর্ণের বারগুলো ঢাকায় পৌঁছে দিতে তারা নগদ ১৪ হাজার টাকার চুক্তি করে।
এর সাথে যাওয়া-আসা খরচের পাশাপাশি ফ্রি’তে নাস্তার সুবিধাটা তারা পায়।
সোমবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. রাহাত হারুন খান।
এর আগে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকা থেকে রবিবার বিকাল সাড়ে ৪টা এবং সাড়ে ৫টার দিকে দুটি দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসে তল্লাসি চালিয়ে ১২০টি স্বর্ণের বারসহ ৬ জনকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন যাত্রী মো. জামাল হোসেন (২২), মো. তানভীর আহমেদ (২৫), মো. রাজু হোসেন (২৩), যাত্রী মো. আবুল হসানা (৩৫), মো. রাজু আহমেদ (৩০) এবং মো. আলাউদ্দিন (৩২)।
র্যাব-৩-এর উপ-অধিনায়ক আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ওই ছয় যাত্রী জানিয়েছেন, তারা স্বর্ণের বাহক। তাদের প্যান্টের গোপন পকেটে প্রত্যেকের কাছে ২০টি করে মোট ১২০টি স্বর্ণবার ছিল।
আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণের বার তারা দেশের সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে আসছিল বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।